অনলাইন ডেস্ক।।
উৎপাদনের দিক থেকে রাজবাড়ী পিয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়। সারা দেশের চাহিদার ১৩ শতাংশ পিয়াজের যোগান দিয়ে থাকে জেলার কৃষকেরা। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলার এ বছর ৩৪ হাজার ৮৬৫ হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষ হয়েছে। এরই মাঝে মুড়িকাটা পিয়াজে বিক্রি শেষ পর্যায়ে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ বছর রাজবাড়ীতে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির মুড়িকাটা পিয়াজ নষ্ট হয়েছে। কৃষকের ঘরে প্রায় পিয়াজ শূণ্য। বাজারে কমে এসেছে পিয়াজের সরবরাহ। হু হু করে বাড়ছে পিয়াজের দাম।
নতুন হালি পিয়াজ বাজারে আসতে সময় লাগবে আরও ৪০ দিনের মতো। চৈত্রের প্রথম সপ্তাহে বাজারে আসবে হালি পিয়াজ।
রবিবার সকালে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ও সদর উপজেলার কোলারহাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে মুড়িকাটা পিয়াজ বিক্রি করছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে পিয়াজ সরবরাহ কম।
৩০ টাকা দরে প্রতি কেজি পিয়াজ কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করছেন ব্যবসায়ীরা। ঢাকায় ৩৫ টাকা করে বিক্রি হবে বলে জানায় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী।
বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর বাজারের মেসার্স দাস ট্রেডার্সের পরিচালক মো. ফরিদ বলেন, আমরা ৩০ টাকা কেজি দরে প্রতি কেজি পিয়াজ ক্রয় করছি। ঢাকাতে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা রয়েছে। বর্তমানে বাজারে পিয়াজের সংকট শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজবাড়ী সদর ও বালিয়াকান্দি উপজেলা বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, গত মাসের টানা ২ দিনের বৃষ্টিতে অনেক পিয়াজের গাছ নষ্ট হয়েছে। সেসব পিয়াজের ক্ষেত পরিচর্যায় নিজেদের মতো করে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন জেলার কৃষকেরা। বাজারে হালি পিয়াজ আসতে চৈত্র মাস লেগে যাবে। তবে এ বছর পিয়াজের ফল কম হবে। কৃষকেরা বলেন, গত মাসের বৃষ্টিতে পিয়াজের ক্ষতি হয়েছে। নতুন পিয়াজ বাজারে আসলে তখন দাম হয়তো কমে আসতে পারে। তবে কৃষকেরা যেন ন্যায়্য মূল্য পায় সেই দিকটা বিবেচনার জন্য সরকারকে হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক এস এম সহিদ নূর আকবর বলেন, মুড়িকাটা পিয়াজ প্রায় শেষের দিকে। রাজবাড়ীতে চৈত্র মাসের প্রথম থেকে হালি পিয়াজ বাজারে আসবে। তখন হয়তো দাম কমে আসতে পারে। তবে দামের কারণে কৃষকেরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেই বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।